

বাংলার আলো টিভি ডেস্কঃ
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী এর যৌথ অভিযানে ৭ মাদক মামলার আসামী কুমিল্লার ০২ মাদক কারবারি ০৬ কেজি গাঁজা ও ২টি সিএনজিসহ গ্রেপ্তার।
অভিযানের তারিখ ও সময়ঃ ১৬/০৫/২০২৫ খ্রিঃ, ১৬.০০-১৭.০০ ঘটিকা। অভিযানের ঘটনাস্থলঃ নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ মডেল থানাধীন চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজারস্থ ন্যাশনাল হাসপাতালের সামনে নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর।
আসামীদের নাম ও ঠিকানাঃ
১.মোঃ বাবুল ওরফে বাবুল হোসেন (৩০), পিতাঃ মৃত আলী আশ্রাব ওরফে মোঃ আলী আশরাফ, মাতাঃ রাছিয়া বেগম, জাতীয় পরিচয়পত্রঃ ৮৭১০৮৯১৮৫৭; ঠিকানাঃ গ্রামঃ কোদালিয়া (হোড়া কাজী বাড়ী), ডাকঘরঃ কালিকাপুর, ৫নং ওয়ার্ড, ২নং বাকশীমূল ইউপি, থানাঃ বুড়িচং, জেলাঃ কুমিল্লা।
২.মোঃ মোস্তফা (৪৩), পিতাঃ মৃত আবু তাহের, মাতাঃ মৃত রেহানা বেগম, জাতীয় পরিচয়পত্রঃ ৭৩৩৯৫৪৪৮৩০; ঠিকানাঃ গ্রামঃ আনন্দপুর (উত্তর পাড়া), ডাকঘরঃ কালিকাপুর, ৬নং ওয়ার্ড, ২নং বাকশীমূল ইউপি, থানাঃ বুড়িচং, জেলাঃ কুমিল্লা।
৩.খোরশেদ আলম, (মোবাইল নং- 01722519044) পিতাঃ অজ্ঞাত, সিএনজির চালক, ঠিকানাঃ লক্ষ্মীপুর। উদ্ধারকৃত আলামতঃ ০৬ কেজি গাঁজা, ২টি সিএনজি, মোবাইল-০২টি।
গৃহীত আইনগত ব্যবস্থাঃ গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ (সংশোধন ২০২০) এর সংশ্লিষ্ট ধারায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যা জানা গেছেঃ মোঃ বাবুল ওরফে বাবুল হোসেন (৩০) ও মোঃ মোস্তফা (৪৩) দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা সীমান্ত থেকে সিএনজি ড্রাইভার সেজে নিজেরাই নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর এলাকায় মাদক পাচার করে আসছে। আসামী মোঃ বাবুল ওরফে বাবুল হোসেন (৩০) এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৭টি ও মোঃ মোস্তফা (৪৩) এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৬টি মাদক মামলা রয়েছে। কুমিল্লা সীমান্ত থেকে নিজেরাই গাঁজা কিনে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের গাঁজা ব্যবসায়ীদের নিকট পৌছে দিত তারা। এই চক্রের অপর সদস্য সিএনজি চালক খোরশেদ আলম ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান আছে।
সুব্রত সরকার শুভ, সহকারী পরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।