শাহাদাত হোসেন সোহাগ, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
তাদের মা (হাসিনা) চলে যাওয়ায় এতিম হয়ে গেছে আওয়ামী লীগ। এতিম আওয়ামী লীগের পোলাপানদের মারবেন না আপনারা। তবে যারা অপরাধ করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের যারা অস্ত্র ঠেকিয়েছে, যারা ভোট চুরি করেছে, তাদের বিচার হবেই ইনশাল্লাহ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাবেক এমপি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
গতকাল শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর ২০২৪) নোয়াখালীতে চাটখিল পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন ও কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ-শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিলো। আওয়ামী লীগও ভোট দিতে পারে নাই। পুলিশ, সরকারি কর্মচারীরা এবং দুই চারজন পান্ডা ভোট নিয়ে গেছে। প্রিজাইডিং অফিসারদেরকে বাধ্য করেছে, পুলিশ অফিসারদেরকে বাধ্য করেছে, শিক্ষকদেরকে বাধ্য করেছে ভোট জালিয়াতি করার জন্য। এসব কারণে আওয়ামী লীগ গ্রামে গ্রামে সন্ত্রাসী সৃষ্টি করেছে। এই সন্ত্রাসী বাহিনী সোনাইমুড়ী ও চাটখিলে ২২ জনকে হত্যা করেছে। খিলপাড়ার ৪ জন গুম হয়েছে, যাদেরকে এখনো পাওয়া যায়নি। সে মৃত্যু আপনার হতে পারতো, আমারও হতে পারতো। এই এলাকার আওয়ামী লীগের নেতাদের ইন্ধনেই আমার ভাইদের হত্যা করেছে, আমার ভাইদের গুলি করছে, এগুলোর বিচার এখনো হয় নাই।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা প্রতিবাদ করবেন কী! দলীয় একটা প্রোগ্রামও করতে পারেন নাই। ২০ জন এক জায়গায় বসার অবস্থা ছিলো না। সঙ্গে সঙ্গে মোটর সাইকেল চলে আসতো, হেলমেট বাহিনী চলে আসতো। সারাদেশে যারা যুদ্ধে ছিল, সংগ্রামে ছিল, আন্দোলনে ছিল, তাদেরকে সম্মান করা উচিত। যুদ্ধে ছাত্র জনতার কাছে আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়েছে। যুদ্ধে পরাজিত হলে কেউ আত্মহত্যা করে নয় পালিয়ে যায়। যারা ভিতু তারাই পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন ১৬ ডিসেম্বর ভারতের বিজয় হয়েছে। এটা আমার স্বাধীন বাংলাদেশের উপর আঘাত, আমার মানচিত্রের উপর আঘাত, আমার ভূখন্ডের উপর আঘাত, আমার স্বাধীনতার উপর আঘাত। আপনি বলতে পারতেন সহায্যকারী ছিলেন। নয় মাস যুদ্ধ করেছি আমরা, লাখ লাখ মানুষ মারা গেলো আমাদের আর তারা দাবী করে বিজয় তাদের।’
বিএনপির সিনিয়র নেতা ও চাটখিল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও চাটখিল পৌরসভার সাবেক মেয়র মোস্তফা কামাল, চাটখিল পৌর বিএনপির আহ্বায়ক দেওয়ান শামসুল আরেফিন শামীম, সদস্য সচিব আহসানুল হক মাসুদ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলাউদ্দিন ভূঁইয়া, আনিস আহমেদ হানিফ, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর, চাটখিল পৌরসভা যুবদলের আহবায়ক মাসুদ রানা, পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোজাম্মেল হোসেন ভূঁইয়া মন্টু ও পৌরসভা যুবদলের পদ প্রত্যাশিত শাহাদাত হোসেন সোহাগ সহ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।