মামুন মিঞা, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের শ্রীরামদিয়া গ্রামের মৃত মোজাহার চৌধুরীর ছেলে আরিফ চৌধুরী (৫০) এর স্ত্রী তিন সন্তানের জননী মুক্তা আক্তার (৪০) কে গালা কেঁটে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার সময় প্রতিবেশী নালা শেখের ছেলে পাউচা শেখ তার পেশাগত কাজে যেতে আরিফ চৌধুরীর রান্না ঘরের ভিতর ছটফটানি গুংড়ানো শব্দ পেয়ে তাকে ডাক দেয়।
আরিফ চৌধুরী ঘর থেকে বের না হলে বাড়িতে ফিরে টর্চ লাইট নিয়ে এসে দেখতে পায় আরিফ চৌধুরীর স্ত্রী মুক্তা বেগম গলা কাটা অবস্থায় রান্নাঘরের মেঝের মাটিতে ছটফট করছে।
সে সময় তার চিৎকারে মুক্তা বেগম এর স্বামী আরিফ চৌধুরী ঘরের দরজা খুলে বের হয়। গলাকাটা অবস্থায় আহত মুক্তা বেগমকে প্রথমে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মুক্তা বেগম মারা যায়। ভাংগা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন স্বজনরা।
খবর পেয়ে নগরকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সফর আলী ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান শাকিল এর নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করেন এবং ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠান।
নিহতের স্বামী আরিফ চৌধুরী ও পরকীয়ায় জড়িত সালো বেগম (৩৮) কে থানায় নিয়ে আসে। সালো বেগম একই গ্রামের নাজিম ব্যপারীর মেয়ে। নিহতের বড় ছেলে মিনহাজ (১৭) বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না রাতে কি হয়েছে আমি জানি না।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা অনেকে বলেন, পরকীয়ার কারনে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করতে পারে স্বামী।
পুলিশ ঘটনা স্থল লাশের পাশে থাকা রক্তাক্ত জবাইকৃত ছুরি উদ্ধার করেন।
নগরকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সফর আলী এই প্রতিবেদক কে জানান, খবর পেয়ে আমি ও আমার স্যার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান শাকিল ঘটনা স্থল পরিদর্শন করি। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
এছাড়া নিহতের স্বামী আরিফ চৌধুরী ও পরকীয়া ইস্যুতে সালো বেগম কে থানায় নিয়ে এসে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।