মো.এমরুল ইসলাম,ষ্টাফ রিপোর্টার,নরসিংদীঃ
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেছেন, মানব রচিত আইনের অধীনে চলা আধুনিক রাষ্ট্রগুলোর সবচেয়ে বড় সমস্যা, তারা কোনটা বৈষম্য কোনটা ন্যায়বিচার, কোনটা অপরাধ, কোনটা অপরাধ নয় সেই বিষয়টিই এখন পর্যন্ত পরিপূর্ণভাবে স্থির করে উঠতে পারছে না। বৈষম্য আর অপরাধের সঠিক সংজ্ঞা নির্ধারণেই তারা এখন পর্যন্ত সফল হতে পারেনি। এক্ষেত্রে তারা অধিকাংশ মানুষ যেটাকে ভাল মনে করে সেটাকেই ভাল মনে করে বসে আছে। ফলে মদ, পতিতাবৃত্তি, সুদ, লিভ টুগেদার, জিনা-ব্যভিচার, সমকামিতার মত জঘন্য অপরাধগুলোকে অধিকাংশ রাষ্ট্র অপরাধ তো মনে করছেই না বরং আইন করে এগুলোর বৈধতা দিয়েছে এবং দিচ্ছে। ফলে পৃথিবীতে বৈষম্য ও অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলছে। আল্লাহ্ প্রদত্ত ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা ছাড়া এই অবস্থার অবসানের কোন দ্বিতীয় পথ খোলা নেই।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকাল ৩ টায় নরসিংদী জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন নরসিংদী জেলা শাখা কতৃক আয়োজিত ‘বৈষম্যহীন ও অপরাধমুক্ত রাষ্ট্র বিনির্মাণে ইসলামী রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খেলাফত আন্দোলন নরসিংদী জেলা আমীর মুফতী মোশাররফ হোসাইন রায়পুরীর সভাপতিত্বে এবং জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা গাজী ইসমাইল ভাঁওয়ারীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, সহকারী মহাসচিব আলহাজ্ব আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, খেলাফত যুব আন্দোলনের সেক্রেটারি মুফতি আল-আমীন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের আদর্শে চলা কথিত আধুনিক রাষ্ট্রগুলো মানবাধিকারের নামে, নারী-পুরুষ সমতার নামে মানুষকে সমকামিতা, ট্রান্সজেন্ডারিজমের প্রতি উৎসাহিত করছে। শুধু তাই না উন্নয়ন সহযোগিতার নামে ঋণের ফাঁদে ফেলে তারা তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে বাধ্য করেছে। বাংলাদেশে আমরা তাদের এই ষড়যন্ত্র কখনোই বাস্তবায়ন করতে দিব না, ইনশাআল্লাহ্।
এ ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন মুফতী আমিনুল হক কাসেমী, মুফতী মুবাশ্বির আহমদ কাসেমী, এডভোকেট শামসুজ্জামান, অধ্যাপক মুসলেহুদ্দীন, মাওলানা হারুনুর রশিদ, মুফতি আলমগীর হোসেন আল জামী, মাওলানা মাওলানা ছগির আহমদ মোবাশ্বেরী, মাওলানা জুবাইর আহমদ ভৈরবী, মাওলানা জামিল আহমাদ, হাফেজ মাওলানা ইমরান হুসাইন, মুহাম্মদ মাহবুব রব্বানী (শাকিল), মাওলানা মাহদী হাসান মিরাজী এবং আব্দুল্লাহ্ টিটু প্রমূখ।