নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে দক্ষিণ মেলাবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের ছাদসহ বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল। খসে পড়ছে পলেস্তারা। বিদ্যালয়টির ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। পলেস্তারা খসে পড়ছে শিক্ষার্থীদের মাথায়। ভবনের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল। এতে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে।
জানা যায়, জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার মেলাবর গ্রামের দক্ষিণ মেলাবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রতিষ্ঠানটি গৌরবের সঙ্গে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ে একটি মাত্র ভবন রয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায়, ভবনটি একেবারেই নাজুক। বিষয়টি গণমাধ্যমে আসলে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা কয়েকদিন ঝুঁকিপূর্ণ ঐ ভবনের বাহিরে গাছ তলায় পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
অদ্য সকালে স্কুলেগেলে দেখামিলে শিক্ষার্থীদের আবারও বাধ্য করা হয়েছে ঝুকিপূর্ণ ঐ ভবনের ছাদের নিচে বসে ক্লাশ করতে। এতে অনেকটাক ভীতি আর আতঙ্কিত ভাব দেখা যায় শিক্ষার্থীদের চোখে মুখে। শিক্ষার্থীদের মাথার উপরে থাকা পিলার ও সিলিংয়ে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে।বেরিয়ে গেছে পলেস্তারার ভেতরে থাকা লোহার রডগুলো। বিদ্যালয়টির শিক্ষকরা জানান, ভবনের দেয়াল ও ছাদের পলেস্তারা খসে প্রায়ই শিক্ষার্থীদের মাথায় পড়ে। এতে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। বর্ষাকালে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। যেকোনো মুহূর্তে ভবনগুলো ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ে একশতাধিকেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ঠিকমতো পাঠদান হচ্ছে না। প্রায়ই সিলিংয়ের পলেস্তারা খসে পড়ে। তাই শিক্ষার্থীরা সব সময় আতঙ্কে থাকে।’
স্কুলে আসা চঞ্চল রায় নামের তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, স্যার আমরা পড়তে পারিনা খুব ভয় করে ছাদ ভাঙ্গি আমাদের মাথায় পড়ে। মাঠে রোদ আর গরম আমাদের নতুন বিল্ডিং দেন তানাহলে আমরা আর এই স্কুলে আসবোনা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ বলেন, নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। আশা করছি, খুব শিগগির ব্যবস্থা হবে।আপাতত বাহিরে ক্লাশ পরিচালনা করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহনেরও আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
এদিকে এক অবিভাবকের দেওয়া তথ্য মোতাবেক জানা যায় গত পরশু (বুধবার) স্কুলে পাঠদান চলাকালীন সময়ে ছাদের খণ্ডিত অংশ ভেঙ্গে পড়লে অল্পেই বেঁচে যান তার সন্তান। এবিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে দ্রুতো নিরাপদ জায়গায় পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করার আশ্বাস প্রদান করেন।