শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন
Headline
১৯ বছর ধরে স্ত্রীর কবরকে সঙ্গ দিচ্ছেন স্বামী এটিএম মোস্তফা বৃহত্তর নোয়াখালীকে প্রদেশ হিসেবে বাস্তবায়ন করুন–হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন নোয়াখালীর চাটখিলে যাত্রীবেসে দিনের বেলায় অটোরিকশা ছিনতাই নোয়াখালীর সেনবাগে পিস্তল ঠেকিয়ে ডাকাতি, ৪ দোকানে চুরি হোয়াইট হাউসের কঠোর অভিযানে পাঁচশত অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হলে ফিরে আসবে ফ্যাসিস্টরা–ডাঃ শফিকুর রহমান  যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব, ট্রাম্পের সংবিধান বিরোধী আদেশ স্থগিত করল আদালত নিউইয়র্কে চাটখিল উপজেলা সোসাইটি ইউএসএ-এর মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বিভক্তির কবল থেকে রক্ষা পেল নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা মানবতার ফেরিওয়ালা অনামিকা আজমের অর্ধ যুগের গল্প
১৯ বছর ধরে স্ত্রীর কবরকে সঙ্গ দিচ্ছেন স্বামী এটিএম মোস্তফা
/ ২১ Time View
Update : বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:০৮ পূর্বাহ্ন

 

রফিকুল ইসলাম রফিক, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

ছোটবেলা থেকেই আমরা অনেক গল্প উপন্যাস অনেক সিনেমাতেও দেখেছি, লাইলি-মজনু, শীরি-ফরহাদ, অনেকেরই গল্প ইতিহাসে পড়েছি কিন্তু বাস্তবে একজন প্রেমিক-প্রেমিকাকে দেখলাম ।

এ যুগে শোকের মেয়াদ নাকি কম-বেশি তিন মাস। আর এ প্রেম ও ভালোবাসা এক পরাবাস্তব মরীচিকা। জীবনমুখী গানের জনপ্রিয় শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীর গানে তো আরেক একধাপ এগিয়ে বলা হয়েছে, ‘ভালোবাসা আসলে তো একটা চুক্তি যেন অনুভূতি-টনুভূতি মিথ্যে’। কিন্তু আসলেই কি তাই? এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে।

রাজারহাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সাবেক শিক্ষক এটিএম মোস্তফার দিকে তাকালে জানা যায় ‘ভালোবাসা কারে কয়’ ? । প্রায় ১৯ বছর ধরে প্রিয়তমার কবরকে সঙ্গ দিচ্ছেন এই প্রেমিক। উপজেলা সদরের চাঁন্দামারী গ্রামে কবরের পাশে বসে প্রার্থনা আর দোয়ায় তিনি স্মরণ করছেন প্রিয় স্ত্রীকে। এটিএম মোস্তফার স্ত্রী রেখা বেগম ২০০৬ সালের ১৪ নভেম্বর মাত্র ৪৩ বছর বয়সে মারা যান। স্ত্রীকে বাড়ির প্রবেশপথের পাশেই দাফন করা হয়। সেই থেকে স্ত্রীর কবরকে দৃষ্টিসীমার বাইরে ফেলে কোথাও যেতে চান না তিনি।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক এটিএম মোস্তফা এবং তার স্ত্রী রেখা বেগমের দাম্পত্য জীবন ছিল অত্যন্ত সুমধুর। বিয়ের পর তারা একে অপরকে ছেড়ে কখনো রাত কাটাননি। মোস্তফা-রেখা দম্পতির দুই সন্তান। ছেলে রাজীব ফেরদৌস শুভ্র ও মেয়ে রুবাইয়া সুলতানা।

শুভ্র বলেন, মা মারা গেছেন ১৯ বছর। বাবা তাকে এখনো ভুলতে পারেননি। মায়ের কবরকে সঙ্গ দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। কবরকে চোখের আড়াল করে দূরে কোথাও যেতে চান না। জরুরি প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে কখনো বাড়ির বাইরে গেলে দ্রুত তিনি ফিরে আসেন। ঘুরেফিরে মায়ের কবরের কাছে বসেন। রাত জেগে নামাজ পড়েন, কোরআন তেলাওয়াত করে দোয়া করেন।

এটিএম মোস্তফা নামের প্রেমিক হৃদয়ের মানুষটি বলেন, কত দিন হলো মানুষটা (স্ত্রী) চলে গেছে। তবে ভালোবাসা চলে যায়নি। তার মৃত্যুর পর জীবনটা বড় ফাঁকা ফাঁকা লাগে। তাকে কিছুতেই ভুলতে পারি না। তার মৃত্যুর পর আমি এ পর্যন্ত ৯৫ বার কোরআন খতম করেছি। সব সময় আল্লাহর কাছে তার জন্য জান্নাত কামনা করি। এটিএম মোস্তফা আরো বলেন, আমার বাকি জিন্দেগি, এভাবেই স্ত্রীর কবরের পাশে কাটিয়ে দিতে চাই ।

উপজেলার নওদাবস উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোবাশ্বের আলম লিটন বলেন, মোস্তফা স্যার সম্রাট শাহজাহানের মতো স্ত্রীর জন্য তাজমহল নির্মাণ করেননি। তবে স্ত্রীর প্রতি গভীর ভালোবাসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

More News Of This Category
Our Like Page

Recent Comments

প্রদর্শনের মতো কোন মন্তব্য নেই।